রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন

রোমেনা আফাজের আজ মৃত্যুবার্ষিকী। আহমেদ জহুর

রোমেনা আফাজের আজ মৃত্যুবার্ষিকী। আহমেদ জহুর

রোমেনা আফাজের আজ মৃত্যুবার্ষিকী। আহমেদ জহুর

দস্যু বনহুরের কথা অনেকের মনে আছে। হয়তো মনে নেই এর লেখক রোমেনা আফাজের কথা। আজ তাঁর ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। অসামান্য প্রতিভার অধিকারী এই লেখক ২০০৩ সালের ১২ জুন মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি!

প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক এবং জনপ্রিয় সিরিজ ‘দস্যু বনহুর’ এর রচয়িতা রোমেনা আফাজের জন্ম ১৯২৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর বগুড়ার শেরপুর শহরে। তাঁদের বাড়ি ছিল বগুড়া জেলার জলেশ্বরীতলায়, যা বর্তমানে স্মৃতি জাদুঘর। তাঁর পিতা কাজেম উদ্‌দীন আহমদ এবং মায়ের নাম বেগম আছিয়া খাতুন। বগুড়া সদর থানার ফুলকোট গ্রামের ডাক্তার আফাজ উল্লাহ সরকারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

রোমেনা আফাজ লেখালেখি শুরু করেন ৯ বছর বয়সে। তাঁর প্রথম লেখা বাংলার চাষী নামক একটি ছড়া প্রকাশিত হয় কলকাতার মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকায়। এরপর অসংখ্য ছোটগল্প, কবিতা, কিশোর উপন্যাস, সামাজিক উপন্যাস, গোয়েন্দা ও রহস্য সিরিজ রচনা করেছেন। তাঁর রহস্য সিরিজ ‘দস্যু বনহুর’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই দস্যু বনহুর চরিত্রের জন্যেই মূলত তিনি বিখ্যাত। রোমেনা আফাজের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২৫০টি। তাঁর লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ৬টি চলচ্চিত্র। জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্রগুলো হল- কাগজের নৌকা, মোমের আলো, মায়ার সংসার, মধুমিতা, মাটির মানুষ ও দস্যু বনহুর৷

রোমেনা আফাজ শুধু একজন প্রতিভাময়ী লেখকই ছিলেন না, ছিলেন একজন সক্রিয় সমাজ সেবিকাও। ৩৭টি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ তারমধ্যে অন্যতম হল- জাতীয় মহিলা সংস্থা, ঠেংগামারা মহিলা সবুজ সংঘ, বাংলাদেশ মহিলা জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা, উদীচী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, বাংলাদেশ রেডক্রস সমিতি, বাংলাদেশ রাইটার্স ফোরাম প্রভৃতি।

সাহিত্য ও শিল্পকলায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ সালে তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। রোমেনা আফাজের অবদানকে ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘রোমেনা আফাজ স্মৃতি পরিষদ৷’ সাহিত্যে প্রশংসনীয় অবদানের জন্যে বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছেন বহু পুরস্কার৷ তারমধ্যে নারী বিকাশ সংস্থা থেকে বেগম রোকেয়া স্বর্ণপদক-২০০০, বাংলাদেশ রাইটার্স ফোরাম, বগুড়া থেকে বিশেষ পদক (সাহিত্য)-২০০৩, গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার (সিডিএল) নারী ফোরাম থেকে নারী মুক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত সম্মাননা পদক-২০০৬ (মরণোত্তর) অন্যতম৷

© আহমেদ জহুর
কবি, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক

azohur2002@gmail.com

#তথ্যসূত্র :

০১। “Romena Afaz’s 89th birth anniv…
today”। New Age (ইংরেজি ভাষায়)।
২০১৫-১২-২৭।
০২। “রোমেনা আফাজ স্মৃতি জাদুঘর”। লুৎফুল
বারী। ঢাকা, বাংলাদেশ। ০৩-১০-২০১২।
০৩। “সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি”। ১৬ আগস্ট
২০১১।
০৪। সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। ‘জাতীয়
পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার’। সিরাজুল
ইসলাম। বাংলাপিডিয়া। ঢাকা: এশিয়াটিক
সোসাইটি বাংলাদেশ।

০৫। উইকিপিডিয়া। ১০ জুন, ২০২০।

 

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD